ভোলার ২২ তরুণের সফল কার্যক্রম- জাগো

প্রকাশঃ মে ৫, ২০১৭ সময়ঃ ২:১১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:১৩ অপরাহ্ণ

 

মানুষ ঘুমিয়ে যা দেখে তা স্বপ্ন নয়। স্বপ্ন হলো সেটাই—যা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না। স্বপ্ন ও স্বপ্নবাজরা সব সময় সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারেন। এভাবেই সবাইকে স্বপ্ন দেখতে ও স্বপ্নের পেছনে তাড়া করতে উদ্বুদ্ধ করতেন, ভারতের সাবেক রাষ্টপতি, স্বপ্নবাজ ও স্বপ্নের ফেরিওয়ালা খ্যাত এ পি জে আবদুল কালাম। তার এই সমস্ত বানী গুলোকে উপলব্ধি করে ভোলা জেলার, চরফ্যাসন উপজেলার , দুলারহাট অঞ্চলে ২২ জন স্বপ্নবাজ উদীয়মান তরুন যুবক স্বপ্ন দেখতে ও স্বপ্নের পেছনে তাড়া করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। যারা  সবাই লেখা পড়ার পাশাপাশি স্বপ্ন দেখতেন, মানবতার সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করার এবং কীভাবে নিঃস্বার্থভাবে এই অঞ্চলে দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। এই স্বপ্নবাজরা অবশেষে ২০১৬ সালে ২৪ই মার্চ ‘তুচ্ছ নয় রক্তদান, বাচাঁতে পারে একটি প্রাণ’ এই স্লোগান নিয়ে ”জাগো” নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করেন।

জাগো সংগঠনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত অসংখ্য মুমূর্ষু রোগীদের রক্তদান, বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে দুলারহাট বাজার, দুলারহাট কলেজ, ঘোষের হাট বাজারে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকদের রক্তের গ্রুপ নির্নয়, অসহায় ও দুস্থ লোকদের আর্থিক সহযোগিতাসহ, শীতবস্ত্র বিতরণ, আঞ্চলিক গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তিসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডে সরব উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো এবং খুব তাড়াতাড়ি এটি এই অঞলের সকল স্তরের মানুষের কাছে আস্থা অর্জন করেন। এই সংগঠনের মাধ্যমে প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে অসংখ্য লোক উপকৃত হয়েছে। এছাড়াও সংগঠনের নির্বাহী সদস্যদের দ্বারা এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

জাগো সংগঠনের এই সমস্ত কার্যক্রমে অনুপ্রানিত হয়ে এই অঞলের গুরুত্বপু্র্ণ ব্যক্তিরা সংগঠনটির পাশে দাঁড়িয়েছে, বিভিন্ন কার্যক্রমে তারা সকলক্ষেত্রে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। এমনকি অনেকে আর্থিকভাবেও সহযোহিতা হাত বাড়িয়েছেন।

এই সংগঠনের কার্যক্রমগুলোর মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলো সিটি হার্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রোডমাস্টার মটরস, রবি, গ্রামীণফোন বাংলাদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের। তারা জাগো সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমে স্পন্সরের মাধ্যমে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। জাগো সংগঠনের অন্যতম সদস্য মাহমুদ সুজন জানান যে, এটি একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহায়তা নেইনি।

তিনি আরো বলেন, কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী মিলে নিজেদের অর্থায়নে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে স্পন্সরের মাধ্যমে এই কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করছি। আজ হাঁটি হাঁটি পা পা করে “জাগো” সংগঠনটি ২য় বর্ষে পদার্পণ করেছে। আশা করি গত বছরের তুলনায় এই বছর আরো ব্যাপক আকারে কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করতে পারবো, ইনশাল্লাহ।

রফ্যাসন উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখন বলেন , আমাদের এলাকার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছাত্রদের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত ”জাগো’ সংগঠনটির সকল কার্যক্রম আমাকে অবাক করেছে এবং খুব কম সময়ে এই সংগঠনটি তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। শুধু ইচ্ছাশক্তি, মেধাশক্তি এবং একতাশক্তির সমন্বয়ে কোনো রাজনৈতিক সহযোগিতা ছাড়া দেশ ও জাতির কল্যানের জন্য যে অনেক ভালো কিছু করা যায় এই সংগঠনের ২২ জন যুবক আমাদের সামনে সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G